Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

উপজেলার পটভুমি

 চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় উপজেলা ফটিকছড়ি উপজেলা। চট্টগ্রাম জেলার উত্তরাংশে ২২°৩৫´ থেকে ২২°৫৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৩৮´ থেকে ৯১°৫৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত। এই উপজেলার পশ্চিমে মীরসরাই উপজেলা ও সীতাকুণ্ড উপজেলা; দক্ষিণে হাটহাজারী উপজেলা; পূর্বে রাউজান উপজেলারাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা ও খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলামানিকছড়ি উপজেলা ও রামগড় উপজেলা এবং উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ অবস্থিত।। এটি ফেনী ঐতিহাসিক শহর হিসাবে পরিচিত, যা প্রাচীন ইতিহাস, স্মৃতি, সুলতান, আউলিয়া-সিন, বুদ্ধিজীবী, শিল্পপতি, মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদদের সমৃদ্ধ। বিগ হালাদা, ধূরং, লারা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এই সুন্দর শহরটি নিখোঁজ সবুজ, সুন্দর বনভূমি, বহু চা বাগান, রাবার বাগান, সেগুন বাগান, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সম্পদের সমৃদ্ধ।পশ্চিমে মিরসরাই ও সীতাকুন্ড, উত্তরে রামগড় এবং দক্ষিণ হাটহাজারী ও ভারতের ত্রিপুরা। একটি গভীর অনুভূতি আছে যে উপজেলার নামটি একটি নদীর নামকরণ করা হয়েছে। ফটিক অর্থ স্বচ্ছ ও ছড়ি অর্থ পাহাড়িয়া নদী, ক্ষুদ্র স্রোতস্বতী, ঝর্ণা বা খাল। উপজেলার পশ্চিমাংশে ফটিকছড়ি খাল নামক একটি স্বচ্ছ ঝর্ণা আছে। নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যে ভরা খালটি সীতাকুণ্ড পাহাড়ী রেঞ্জ থেকে উৎপন্ন হয়ে যোগিনী ঘাটা নামক স্থানে হালদা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। একসময় ফটিকছড়ি উপজেলার অবস্থান ছিল ভূজপুরের দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত এই ফটিকছড়ি খালের তীরে। ফটিকছড়ি খাল হতেই এই থানার নামকরণ হয়।[৪] এছাড়া রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলায় ফটিকছড়ি নামে একটি ইউনিয়ন আছে।

ফটিকছড়ি উপজেলার একটি ঐতিহাসিক অবস্থান রয়েছে। বাংলার শাসন কর্তা সুবেদার শায়েস্তা খানের পুত্র বুজুর্গ উমেদ আলী খা ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে আরাকানকে পরাজিত করে চ্ট্গ্রাম দখল করেন এবং নামকরন করেন ইসলামাবাদ।তখন দিল্লীর বাদশা ছিলেন আওরঙ্গজেব।শাসন কার্যের সুবিধার জন্য এবং আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকল্পে সমগ্র এলাকাকে ৭ টি চাকলায় ভাগ করে এক একটি পরগনার একটি নামকরন করেন।বাংলার বারভূইয়া স্বাধীনতাকামী ঈসা খা মুগল সম্রাটের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষনা করার লক্ষে বাইশপুর সমন্বয় ঐতিহাসিক 'ইছাপুরা পরগনা' গঠন করেন।বঙ্গশাদুল ঈশা খার নাম অনুসারেই সাবেক 'ইছাপুর' পরগনাই বর্দ্ধিত কলেরবে বর্তমানের ফটিকছড়ি উপজেলা। ইতিহাস- ঐতিহ্য, স্মরনীয়-বরনীয়, সুফী-সাধক, আউলিয়া-দরবেশ, বুদ্ধিজীবি, শিল্পপতি, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ সমৃদ্ধ এই জনপদ। উপমহাদেশের খ্যাত আউলিয়া গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী, হযরত মাওলানা আহম্মদ উল্লাহ(কঃ), হযরত মওলানা গোলামুর রহমান (কঃ), হযরত জিয়াউল হক (কঃ), সুফী সাধক মুফতী গরীব উল্ল্যাহ শাহ(রঃ), হযরত আবিদ শাহ(রাঃ), শাহ নবীদুর রহমান(রাঃ) প্রমুখ আউলিয়া দরবেশগনের পূন্য স্মৃতি বিজরিত উপচজলা এই ফটিকছড়ি। এই উপজেলায় ২০ টি ইউনিয়নে ৬০ টি ওয়ার্ড, ১৯৭ টি গ্রাম, ৭০,০৬৫ টি বাড়ী এবং ১,৮৩,৯৯৬.৫৩ একর জমি, ১৮ টি চা বাগান, ৫ টি কলেজ, ৪৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৮টি বালিকা বিদ্যালয়, ৪ টি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কামিল, আলিম, দাখিল সহ মোট ৩১ টি মাদ্রাসা, ৩০০ টি এবতেদায়ী ও কওমী মাদ্রাসা,১৩৩ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৬ টি রেজিষ্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি অনুমোদিত বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৫টি কিন্ডারগার্টেন, ১৭টি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৮টি হাট-বাজার, মোট রাস্তা ৬২০ কিঃমিঃ, মোট ব্রিজ সংখ্যা ১১৫ টি, মোট কালভার্ট ২৫০ টি, মোট নলকূপ ৪৫০০টি, মসজিদ ৪৫০টি, মন্দির ৭২টি, গীর্জা ০১টি এবং অন্যান্য ৩৪ টি, আশ্রয়ন প্রকল্প ০৪টি, আবাসন প্রকল্প ০১ টি, টেলিফোর একচেঞ্জ ৪টি, বিদুৎতায়িত গ্রাম ১১২ টি, প্রধান প্রধান ফসল ধান, আলু, মরিচ, আদা, বেগুন, মিষ্টি, ফেলন ডাল, মিষ্টি কুমড়া, নানাবিদ সবজি, শাকসবজি ইত্যাদি ।