শিক্ষা সংস্কৃতিতে আবহমান কাল থেকে যেমন ফটিকছড়ি সমৃদ্ধ ঠিক তেমনি খেলাধুলায়ও এই উপজেলার রয়েছে একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য।
দেশজ খেলাধুলার পরিবর্তে বিদেশী খেলা এখন আমাদের সন্তানদের কাছে অতি প্রিয়। দেশিয় সাংস্কৃতি আজ বিলীনের পথে, এখন আর শুনা যায় না লালন, হাছান, মুকন্দ দাসের গান এখন আর যেমন শোনা যায় না তেমনি চোখে পড়ে না। তারপর ও কিছু কিছু খেলা আজ ঠিকে আছে, যেমনঃ- হা-ডু-ডু, দাড়িয়াবান্দা, কানামাছি খেলা। একসময় গাঁ-গ্রামে বলি খেলা নিয়ে অনেক মাতামাতি, নাচানাচি হতো, এক গাঁয়ের বলির সাথে অন্য গাঁয়ের বলির খেলা শুধু খেলা ছিল না, ছিল দু’গাঁয়ের মান-ইজ্জতের বিষয়। হা-ডু-ডু, দাড়িয়াবান্দা,কানামাছি, বাঘবন্ধী, লাঠি খেলা কিংবা সাঁতার, নৌকা বাইচ, গোল্লাছুট, ডাংগুলি, মোরগ লড়াই, ঘুঁড়ি উড়ানো, কবুতর খেলা এসবই পূর্ব পুরুষের স্মৃতির সাথে জড়ানো। আষাঢ়ের বাদল দিনে গৃহকোণে ষোলগুটি খেলার স্মৃতি আজও অনেক বৃদ্ধের মনে দোলা জাগায়। ইংরেজ প্রবর্তিত ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাটমিন্টন খেলার দাপটে আমরা হারিয়ে ফেলছি এইসব সোনালী দিনের জনপ্রিয় খেলাগুলো। সারাদেশে ক্রিকেট খেলার জনপ্রিয়তার সূত্র ধরে ফটিকছড়ি উপজেলায় ক্রিকেট করে নিএয়ছে আলাদা এক স্থান। তরুণরা এখন ক্রিকেট নিয়ে মাতামাতি করছে। ক্রিকেট খেলার সাথে ফটিকছড়ির হৃদয়ের সম্পর্কটা অনেক দিনের পুরানো। ফটিকছড়ি এমন কোন খেলার মাঠ নেই যেখানে ফুটবল/ক্রিকেট খেলা হয়না। সে সব মাঠে এখনো টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে দর্শক সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। ফটিকছড়িতে অসংখ্য ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান খেলাধুলা আয়োজন ও ক্রীড়ার বিকাশে অসামান্য অবদান রাখছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস