চা (ইংরেজি: Tea) বলতে সচরাচর সুগন্ধযুক্ত ও স্বাদবিশিষ্ট এক ধরণের ঊষ্ণ পানীয়কে বোঝায় যা চা পাতা পানিতে ফুটিয়ে বা গরম পানিতে ভিজিয়ে তৈরী করা হয়। চা গাছ থেকে চা পাতা পাওয়া যায়। চা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ক্যামেলিয়া সিনেনসিস। 'চা পাতা' কার্যত চা গাছের পাতা, পর্ব ও মুকুলের একটি কৃষিজাত পণ্য যা বিভিন্ন উপায়ে প্রস্তুত করা হয়।
ইংরজিতে চা-এর প্রতিশব্দ হলো টি। গ্রীকদেবী থিয়ার নামানুসারে এর নাম হয় টি। চীনে ‘টি’-এর উচ্চারণ ছিল ‘চি’। পরে হয়ে যায় ‘চা’।[২]
পানির পরেই চা বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত পানীয়। এর একধরণের স্নিগ্ধ, প্রশান্তিদায়ক স্বাদ রয়েছে এবং অনেকেই এটি উপভোগ করে। প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া অনুসারে চা-কে পাঁচটি প্রধান শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যেমন - কালো চা, সবুজ চা, ইষ্টক চা, উলং বা ওলোং চা এবং প্যারাগুয়ে চা।[৩] এছাড়াও, সাদা চা, হলুদ চা, পুয়ের চা-সহ আরো বিভিন্ন ধরণের চা রয়েছে। তবে সর্বাধিক পরিচিত ও ব্যবহৃত চা হল সাদা, সবুজ, উলং এবং কাল চা। প্রায় সবরকম চা-ই ক্যামেলিয়া সিনেনসিস থেকে তৈরি হলেও বিভিন্ন উপায়ে প্রস্তুতের কারণে এক এক ধরণের চা এক এক রকম স্বাদযুক্ত। পুয়ের চা একধরণের গাঁজনোত্তর চা যা অনেক ক্ষেত্রে ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কিছু কিছু চায়ে ক্যামেলিয়া সিনেনসিস থাকে না। ভেষজ চা হল একধরণের নিষিক্ত পাতা, ফুল, লতা ও উদ্ভিদের অন্যান্য অংশ যাতে কোন ক্যামেলিয়া সিনেনসিস নেই। লাল চা সাধারণত কাল চা (কোরিয়া, চীন ও জাপানে ব্যবহৃত হয়) অথবা দক্ষিণ আফ্রিকার রুইবস গাছ থেকে তৈরি হয় এবং এতেও কোন ক্যামেলিয়া সিনেনসিস নেই।
চা মৌসুমী অঞ্চলের পার্বত্য ও উচ্চভূমির ফসল। একপ্রকার চিরহরিৎ বৃক্ষের পাতা শুকিয়ে চা প্রস্তুত করা হয়। চীন দেশই চায়ের আদি জন্মভূমি। বর্তমানে এটি বিশ্বের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য পানীয়রূপে গণ্য করা হয়।
১৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে চীনে বাণিজ্যিকভাবে চায়ের উৎপাদন শুরু হয়। আর ভারতবর্ষে এর চাষ শুরু হয় ১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দে। ১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশরা সিলেটে সর্বপ্রথম চায়ের গাছ খুঁজে পায়। এরপর ১৮৫৭ সালে সিলেটের মালনীছড়ায় শুরু হয় বাণিজ্যিক চা-চাষ।[২] এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে সমগ্র বিশ্বে ৩৮,০০,০০০ টন চা পাতা উৎপাদিত হয়েছে।
চা প্রধান কান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলের ফসল হলেও উপ-ক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলেও এটি কিছু কিছু চাষ করা যায়। প্রথম অবস্থায় পাহাড়ের ঢালু জমি পরিষ্কার করা হয়। এর চারা আলাদা বীজতলায় তৈরী করা হয়।
চারাগুলো যখন ২০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ হয়, তখন সেগুলোকে চা-বাগানে সারিবদ্ধভাবে রোপণ করা হয়। সাধারণতঃ দেড় মিটার পরপর চারাগুলোকে রোপণ করা হয়ে থাকে। এরপর গাছগুলোকে বৃদ্ধির জন্য যথামাত্রায় সার প্রয়োগ ও পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হয়। এভাবে দুই থেকে তিন বছর পরিচর্যার পর পাতা সংগ্রহের উপযোগী করে তোলা হয়। কিন্তু গাছগুলো পাঁচ বছর না হওয়া পর্যন্ত যথাযথভাবে পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে না। একটি চা গাছ গড়পড়তা ৩০ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত উৎপাদনের উপযোগী থাকে। তারপর পুণরায় নতুন গাছ রোপণ করতে হয়।
প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এমন পাহাড়িয়া বা উচ্চ ঢালু জমি চা চাষের জন্য সবিশেষ উপযোগী। পানি নিষ্কাশনের বন্দোবস্ত থাকলে উচ্চ সমতল ভূমিতেও চা চাষ করা সম্ভবপর। হিউমাস সারযুক্ত এবং লৌহমিশ্রিত দো-আঁশ মাটি চা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু চা উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন। চা চাষের জন্য ১৭৫ - ২৫০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত আবশ্যক। এজন্য মৌসুমী ও নিরক্ষীয় অঞ্চলের দেশগুলোয় চা চাষের উৎপাদন বেশী হয়ে থাকে।
পৃথিবীতে আসাম এবং চীনজাতীয় - এ দুই প্রকারের চা গাছ দেখতে পাওয়া যায়। তন্মধ্যে -
আসামজাতীয় চা গাছ ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অধিক চাষ করা হয়। এ ধরণের গাছ বেশ বড় এবং বহু পাতাযুক্ত হয়। বিধায়, এটি বাণিজ্যিকভিত্তিতে চাষ করার জন্যে বিশেষ উপযোগী। এ গাছ প্রায় ৬ মিটার বা ২০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। পাতার নাগাল পাওয়া এবং পাতা সংগ্রহের জন্য গাছগুলোকে ১.২ মিটার বা ৪ ফুটের অধিক বড় হতে দেয়া হয় না। ছেঁটে দেয়ার ফলে চা গাছগুলো ঘণঝোঁপে পরিণত হয়।
অন্যদিকে চীনজাতীয় গাছ আকারে বেশ ছোট হয়। এতে পাতার সংখ্যাও অনেক কম থাকে। এ গাছ না ছাঁটলেও পাতা তোলার মতো উচ্চতাসম্পন্ন হয়ে থাকে।
চা গাছ রোপণ, আগাছা পরিস্কারকরণ, সার প্রয়োগ করা, গাছ ছাঁটা, কচি পাতা চয়ন করা, চা-পাতা শুকানো, সেঁকা, চা-প্যাকিং ইত্যাদি বহুবিধ ধরণের কর্মকাণ্ডে দক্ষ-অদক্ষ প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন পড়ে। পাতা চয়নের কাজে দক্ষ মহিলা শ্রমিক নিয়োজিত থাকে।[৪] বিষয়টি বেশ ধৈর্য্যের বিধায়, বাগান কর্তৃপক্ষ মহিলা শ্রমিকদেরকেই পাতা চয়নের জন্য নিয়োগ দিয়ে থাকে। এছাড়াও, চা চাষাবাদের জন্য প্রচুর জৈব ও রাসায়নিক সারসহ প্রয়োজনীয় কীটনাশক সরবরাহ করা হয়।
চীনজাতীয় গাছের পাতা স্বাদ ও গন্ধের জন্য সুখ্যাত। কিন্তু আসামজাতীয় গাছের পাতা রঙের জন্য বিখ্যাত। এই দুই ধরণের চা-পাতার উন্নত সংমিশ্রণের উপরই এর গুণাগুন নির্ভর করে। স্বভাবতঃই চা মিশ্রণ একটি নিপুণতা ও অত্যন্ত কঠিন কাজ। তাই এটি অভিজ্ঞ ব্যক্তির দ্বারা সম্পাদনা করতে হয়। এরূপভাবে চা মিশ্রণে নৈপুণ্যতা লাভের প্রেক্ষাপটে লিপটন, ব্রুকবণ্ড প্রভৃতি চা প্রস্তুতকারক কোম্পানীগুলো বিশ্ববাজার দখল ও খ্যাতি লাভ করেছে।
চা গাছ হতে পাতা সংগ্রহ করতে ব্যক্তিকে যথেষ্ট নৈপুণ্যতা ও দক্ষতা অর্জন করতে হয়। কারণ দু'টি পাতা ও একটি কুঁড়ি একসঙ্গে তুলতে না পারলে চায়ের উৎকর্ষতা ও আমেজ অনেকাংশেই নষ্ট হয়ে যায়। চীন ও জাপানে বছরে গড়পড়তা তিনবার চা-পাতা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু ভারত, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় খুব ঘন ঘন পাতা সংগ্রহ করা যায়। এদেশগুলোতে বছরে গড়ে ষোল থেকে বিশ বার পর্যন্ত চা পাতা সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
২০০৩ সালে বিশ্বে চা উৎপাদিত হয়েছিল ৩.২১ মিলিয়ন টন।[৫] ২০০৮ সালে বিশ্বের চা উৎপাদন ৪.৭৩ মিলিয়ন টনেরও বেশী হয়েছিল। সর্ববৃহৎ চা উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে - গণপ্রজাতন্ত্রী চীন, ভারত, কেনিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং তুরস্ক অন্যতম।
চা বাগানের তথ্যাবলী :
০১। চা বাগানের নাম : কর্ণফুলী চা বাগান।
০২। চা বাগানের অতীত ইতিহাস : চা বাগানটি ১৮৬০ সালে স্থাপিত এবং বর্তমানে ব্র্যাক কর্তৃক পরিচালিত।
০৩। চা বাগানের ইজাদারের নাম/ঠিকানা : ব্র্যাক কর্ণফুলী টি কো: লি:।
০৪। মৌজার নাম : ফেনুয়া, কুতুবছড়ি,গোপালঘাটা, দÿÿণ কাঞ্চননগর, মানিকপুর ও রক্তছড়ি।
০৫। জে এল নং : ৬৩,৬৪,৬৫,৬৬,৭০,৭১,৭২
০৬। খতিয়ান নং : ২,৫,৬
০৭। চা বাগানের মোট জমির পরিমাণ : ৬,৫৭১.৭১ একর।
০৮। ইজারাধীন জমির পরিমাণ : ৬,৫১৭.৭১ একর।
০৯। ইজারা দলিল সম্পাদনের তারিখ
( ইজারা দলিলের কপি সংযুক্ত করিতে হবে) : ০১.০৪.২০০১ ছায়াকপি সংযুক্ত।
১০। ইজারার মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ : ১৪/০৮/২০০৭
১১। লীজ নবায়ন করা হয়েছে কি না ? হয়ে থাকলে তারিখ : না।
১২। লীজের শর্তাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কি না : যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে।
১৩। ভূমি উন্নয়ন কর/লীজ ফির পরিমাণ এবং
হালনাগাদ পরিশোধ আছে কি না : ৩২,৮২,৩৭০/- (১৪১৮ বঙ্গাব্দ পর্যমত্ম পরিশোধিত)
১৪। চা বাগানের জমির ব্যবহার ভিত্তিক তথ্যাবলী : চা বাগান ২,৩৩৪.৮৬ একর
রাসত্মা ১৬৩.১২ একর
অন্যান্য ৪,০৭৩.৭৩ একর
সর্বমোট ৬,৫৭১.৭১ একর।
১৫। চা বাগানের অভ্যমত্মরে খাস জমির পরিমাণ : নাই ।
১৬। চা বাগানের জমির শ্রেণী পরিবর্তন হচ্ছে কি না : না।
১৭। চা বাগানের অভ্যামত্মরে বালু মহল/ছড়া আছে কি না : বালু মহাল নাই/ছড়া আছে।
১৮। চা বাগানের অভ্যামত্মরে রাবার বাগান আছে কি না : ১০১৯.৮৬ একর রাবার বাগান আছে।
১৯। চা বাগানের অভ্যামত্মরে অন্য কোন ধরণের
বাগান/স্থাপনা/গাছ আছে কি না : আছে।
পাতা-২
২০। চা বাগানের কোন শ্রেণীর কি পরিমাণ গাছ আছে : বিবরণ সংযুক্ত।
২১। চা বাগানের বাৎসরিক উৎপাদন : ১৩,৫০,০০০ কেজি।
২২। চা শ্রমিকের সংখ্যা : ২০০৫ জন।
২৩। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যগত অবস্থা : ব্রাক এর শ্রম কল্যাণ পরিকল্পনার আওতায় সব
রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
২৪। চা বাগানের শ্রমিকেরা কোন সরকারী সুবিধা পাচ্ছে কি না : পায় না।
২৫। চা বাগানটি লীজকৃত না ব্যক্তিমালিকানাধীন : লীজকৃত।
২৬। চা বাগানটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানীতে নিবন্ধিত লি: কোম্পানী কি না : হ্যাঁ।
২৭। চা বাগানের মালিকানা পরিবর্তন/হসত্মামত্মর করা হলে উহার বিবরণ : বাগানটি ২০০৩ সালে আব্দুল কাদের
চৌধুরী এন্ড সন্স লি: এর সমসত্ম শেয়ার হসত্মামত্মরের মাধ্যমে ব্র্যাক কর্ণফুলী টি কো: লি: মালিকানা প্রাপ্ত হয়।
২৮। চা বাগানের সমস্য/ সীমানা বিরোধ আছে কি না : চা বাগানের পূর্ব উত্তরদিকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য
জেলাধীন লক্ষীছড়ি উপজেলার সঙ্গে সীমানা বিরোধ আছে। যাহা মাননীয় বিভাগীয় কমিশনার এর কার্যালয়ে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে।
চা বাগানের তথ্যাবলী :
০১। চা বাগানের নাম : মোহাম্মদ নগর চা বাগান।
০২। চা বাগানের অতীত ইতিহাস : ইদিলপুর মৌজায় ১৮৮.৮৭ একর জমি টিলা ক্রয়
করে ১৯৪৪ ইং। ১৯৬৫ ইং হতে চা বাগান শুরম্ন করে ১৯৭০ ইং পর্যমত্ম ৬০ একর চা বাগান করা হয়। ১৯৭১ ইং হইতে স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৭৫ ইং পর্যমত্ম বাগানের কাজ করা বন্ধ ছিল। এই ৫ বৎসরের মধ্যে বাগান আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। ১৯৭৬ হইতে পুন:রায় কাজ শুরম্ন করি। ২০১২ ইং পর্যমত্ম ১১০.০০ একর চা বাগান করা হয়।
০৩। চা বাগানের ইজাদারের নাম/ঠিকানা : হাজী আবদুল বারি সিকদার, ইদিলপুর,
মির্জারহাট, ভুজপুর।
০৪। মৌজার নাম : ইদিলপুর।
০৫। জে এল নং : ২৯
০৬। খতিয়ান নং : ১১৩৯
০৭। চা বাগানের মোট জমির পরিমাণ : ১৮৮.৮৭ একর
০৮। ইজারাধীণ জমির পরিমাণ : নিজ কবলাভুক্ত
০৯। ইজারা দলিল সম্পাদনের তারিখ
( ইজারা দলিলের কপি সংযুক্ত করিতে হবে) : নিজ কবলাভুক্ত
১০। ইজারার মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ : নিজ কবলাভুক্ত
১১। লীজ নবায়ন করা হয়েছে কি না ? হয়ে থাকলে তারিখ : নিজ কবলাভুক্ত
১২। লীজের শর্তাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কি না : মোহাম্মদনগর চা বাগান আর,এস জরীপের
৮৮৩/১ নং খতিয়ানের ৩৪.৮৭ একর জমি বি,এস জরীপে বাগানের নামে জরীপ হয়। আবার খাস খতিয়ানে উঠে যায়। এরপর হইতে খাজনা নেওয়া বন্ধ করে দেয়।
পাতা-২
১৩। ভূমি উন্নয়ন কর/লীজ ফির পরিমাণ এবং
হালনাগাদ পরিশোধ আছে কি না :
১৪। চা বাগানের জমির ব্যবহার ভিত্তিক তথ্যাবলী : চা বাগান ১১০.০০ একর
রাসত্মা ৫.০০ একর
অন্যান্য ৭৩.৮৭ একর
সর্বমোট ১৮৮.৮৭ একর
১৫। চা বাগানের অভ্যমত্মরে খাস জমির পরিমাণ : ১২৮.০০ একর
১৬। চা বাগানের জমির শ্রেণী পরিবর্তন হচ্ছে কি না : হচ্ছে।
১৭। চা বাগানের অভ্যামত্মরে বালু মহল/ছড়া আছে কি না : না।
১৮। চা বাগানের অভ্যামত্মরে রাবার বাগান আছে কি না : আছে।
১৯। চা বাগানের অভ্যামত্মরে অন্য কোন ধরণের
বাগান/স্থাপনা/গাছ আছে কি না : না।
২০। চা বাগানের কোন শ্রেণীর কি পরিমাণ গাছ আছে : জঙ্গলা ভূমি গাছ গাছাড়া।
২১। চা বাগানের বাৎসরিক উৎপাদন : ৩০,০০০ কেজি তৈরী চা।
২২। চা শ্রমিকের সংখ্যা : ১৫০ জন।
২৩। শিÿা ও স্বাস্থ্যগত অবস্থা : ভাল, মালিকের ব্যবস্থাপনায়।
২৪। চা বাগানের শ্রমিকেরা কোন সরকারী সুবিধা পাচ্ছে কি না : না।
২৫। চা বাগানটি লীজকৃত না ব্যক্তিমালিকানাধীন : ব্যক্তিমালিকানাধীণ।
২৬। চা বাগানটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানীতে নিবন্ধিত লি: কোম্পানী কি না : হ্যাঁ নিবন্ধিত কোম্পানী।
২৭। চা বাগানের মালিকানা পরিবর্তন/হসত্মামত্মর করা হলে উহার বিবরণ : না হয়নি।
২৮। চা বাগানের সমস্য/ সীমানা বিরোধ আছে কি না : আছে।
চা বাগানের তথ্যাবলী :
০১। চা বাগানের নাম : মা-জান চা বাগান
০২। চা বাগানের অতীত ইতিহাস : ১৯৬৮ সালে থেকে চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয় এবং
১৯৭২ সাল থেকে প্রথম ধাপে ২০ বছর ও ১৯৯৭ সাল থেকে ২য় ধাপে ৩৫ বছরের জন্য ইজারাধীন
০৩। চা বাগানের ইজাদারের নাম/ঠিকানা : বেগম ফাহইমদা হুসাইন খান। ১১০, কাজী
নজরম্নল ইসলাম এভিনিউ, রমনা, ঢাকা।
০৪। মৌজার নাম : হাস্নাবাদ
০৫। জে এল নং : ১০
০৬। খতিয়ান নং :
০৭। চা বাগানের মোট জমির পরিমাণ : ৫৮১.৯৮ একর
০৮। ইজারাধীণ জমির পরিমাণ : ৫৮১.৯৮ একর
০৯। ইজারা দলিল সম্পাদনের তারিখ
( ইজারা দলিলের কপি সংযুক্ত করিতে হবে) : ২৫/০১/১৯৯৯ ইং
১০। ইজারার মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ : ৩১/০৩/২০০২ ইং
১১। লীজ নবায়ন করা হয়েছে কি না ? হয়ে থাকলে তারিখ : ০১/০৪/১৯৯৭ ইং
১২। লীজের শর্তাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কি না : হ্যাঁ
১৩। ভূমি উন্নয়ন কর/লীজ ফির পরিমাণ এবং
হালনাগাদ পরিশোধ আছে কি না : হ্যাঁ
১৪। চা বাগানের জমির ব্যবহার ভিত্তিক তথ্যাবলী : চা বাগান ৪৩৮.১৮ একর
রাসত্মা ৫.৮৩ একর
অন্যান্য ১৩৭.৯৭একর
সর্বমোট ৫৮১.৯৮ একর
১৫। চা বাগানের অভ্যমত্মরে খাস জমির পরিমাণ : নাই
১৬। চা বাগানের জমির শ্রেণী পরিবর্তন হচ্ছে কি না : না
১৭। চা বাগানের অভ্যামত্মরে বালু মহল/ছড়া আছে কি না : নাই
১৮। চা বাগানের অভ্যামত্মরে রাবার বাগান আছে কি না : নাই
চলমান
পাতা-২
১৯। চা বাগানের অভ্যামত্মরে অন্য কোন ধরণের
বাগান/স্থাপনা/গাছ আছে কি না : ছায়া গাছ আছে।
২০। চা বাগানের কোন শ্রেণীর কি পরিমাণ গাছ আছে : ছায়া গাছ ৫০০টি (আনুমানিক)
২১। চা বাগানের বাৎসরিক উৎপাদন : ১২০ মে: টন
২২। চা শ্রমিকের সংখ্যা : ৩২৫ জন
২৩। শিÿা ও স্বাস্থ্যগত অবস্থা : ভাল
২৪। চা বাগানের শ্রমিকেরা কোন সরকারী সুবিধা পাচ্ছে কি না : না
২৫। চা বাগানটি লীজকৃত না ব্যক্তিমালিকানাধীন : লীজকৃত
২৬। চা বাগানটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানীতে নিবন্ধিত লি: কোম্পানী কি না : হ্যাঁ
২৭। চা বাগানের মালিকানা পরিবর্তন/হসত্মামত্মর করা হলে উহার বিবরণ : প্রযোজ্য নহে
২৮। চা বাগানের সমস্য/ সীমানা বিরোধ আছে কি না : ইজারাকৃত ৫৮১.৯৮ একর ভূমির মধ্যে বাগানের
মাঝখানের ২৪.৯৬ একর জমি বি,এস রেকর্ড সংশোধন প্রক্রিয়াধীন ও বর্তমানে এ.ডি.এম কোর্ট কর্তৃক ইংজাংশান অবস্থায় আছে।
চা বাগানের তথ্যাবলী :
০১। চা বাগানের নাম : রামগড় চা বাগান
০২। চা বাগানের অতীত ইতিহাস : এ বাগান প্রতিষ্ঠা লগ্নে নিউ ইন্ডিয়া টি কোম্পানী
নামে ১৯১৫ সালে পস্নাল্টেশান এবং ১৯১৯ সালে ফ্যাক্টরী প্রতিষ্ঠা করে ২০০৪ সালে হিল পস্ন্যান্টেশান লি: অধিগ্রহণ করেন।
০৩। চা বাগানের ইজাদারের নাম/ঠিকানা : জনাব নাদের খান, ব্যবস্থা
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS